ড. কামালের ৬ দফা, আবারও সংলাপের আহবান

জাতির জন্য গণতন্ত্রহীনতা বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এই সংকট থেকে উত্তরণে ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সংলাপের আয়োজন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল যে ছয় দফা উত্থাপন করেছেন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা বলা আছে। যেটি বিএনপি ও সমমনাদের ‘এক দফা’ দাবির সঙ্গে মিলে গেছে।

ড. কামারের দাবিগুলো হচ্ছে– রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে বাধা না দেওয়া, সব দলের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।

কামাল হোসেনের তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পড়ে শোনান দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। পরে ড. কামাল বলেন, আজকে জনগণের ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশে। আমাদের যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলোকে অর্জন করতে হলে এই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমার একটাই আবেদন, আমরা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করি, ঐক্যবদ্ধ হয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম জনগণের মালিকানা ও জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কায়েম করতে বদ্ধপরিকর। এদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, আপনার-আমার সবার।

ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন তিনি।

একাদশ নির্বাচনে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ আনে, সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ‘কথা রাখেনি’।

ভোটের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি জোটের দূরত্ব বাড়ে। বিএনপি সমমনা ও বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে। এই আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে গণফোরামের অপর অংশের সমর্থন আছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

উত্তরায় প্রাইভেটকারে গার্ডার: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

নূর নিউজ

কোন দেশে ধর্ষণের কী শাস্তি

আনসারুল হক

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

নূর নিউজ