শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শ্রম আদালতে পৌঁছান ড. ইউনূস। পরে বেলা ২টার কিছু সময় পর বিচারক এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মোট ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের মূল অংশ পড়া শুরু করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এই আদালতে নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর বিচার হচ্ছে।
গত সপ্তাহের রোববার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম আদালতে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি নির্দোশ, রায়ে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।’
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত থাকায় রোববার তা আবার উপস্থাপন করা হয়।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও আসামি করা হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।