নিজস্ব প্রতিবেদক, নূর নিউজ
ঢাকায় প্রকাশ্যে বিলি হচ্ছে পতিতালয়ের দালালদের ভিজিটিং কার্ড। তুষার ভাই, কনক ভাই, ইমন ভাইসহ এরকম আরো অসংখ্য নামে ছাপানো কার্ডগুলো বিতরণ করা হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। খদ্দেরের খোঁজে কার্ডগুলোতে পতিতালয়ের নাম্বার ও ঠিকানা লিখে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট ভাবে।
এতে জনমনে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি ও ঘৃণা। পতিতাবৃত্তির মতো সমাজ বহির্ভূত অনাচারের প্রতি অবৈধ আবাসিক হোটেলগুলোর এমন আহ্বান চিন্তায় ফেলেছে সাধারণ মানুষদের।
সাজিদুল ইসলাম নামক একটি সঙ্গে কথা বলে নূর নিউজ। তার বয়স ৭০ এর কাছাকাছি। তিনি জানিয়েছেন, একটা সময় বাংলাদেশের নারী রা ঘর থেকে খোলামেলা পোশাকে বের হবে এটাই ছিল ভাবনার বাইরে। এখন তারা পুরো ঢাকা শহর এমনকি সারা দেশে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় ঘোরাফেরা করে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে পতিতাবৃত্তি বেড়েছে। নারী সমাজের একটা মারাত্মক অবক্ষয় হয়েছে অন্তত এতোটুকু বলতেই হবে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রফিক মিয়া বলেন, আমরা উঠতি বয়সী তরুণ। পাপ আমাদেরকে কাছে ডাকে। আল্লাহর রহমতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে যদি ঠিকানা বিতরণ করা হয় তাহলে আমাদের জন্য এটি বড় ধরনের ফেতনা হয়ে দাঁড়ায়।
এই শিক্ষার্থীর দাবি, নারী সমাজের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ভক্তি কমে যাচ্ছে। মানুষ এখন কিছু কিছু নারীকে মায়ের সম্মান কিংবা বোনের মর্যাদা দিতে আপত্তি করে। এটা অপছন্দ হলেও সত্য কথা।
অন্যদিকে ইসলামিক স্কলাররা মনে করছে পচনশীল সমাজের দুর্গন্ধযুক্ত চিত্র এটি। একটা সময় পতিতাবৃত্তি সবার কাছে ছিল ঘৃণ্য বিষয়। এখন বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে মনে করেন তারা। সামাজিক ইস্খলনের এই বিষয়টির সঠিক সমাধান না হলে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে নাগরিকদের।
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিআ ইসলামিয়া আরাবিয়া বলিয়ারপুরের সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি সুলতান মাহমুদ নূর নিউজকে বলেন, এসব ঘটনায় আমরা এখন আর অবাক হই না। ব্যথিত হই। সমাজের অধঃপতন মানুষের কাছে দিবালোকের মত পরিষ্কার। আমাদের উচিত এসব বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হওয়া।
বাংলাদেশে প্রতিতাবৃত্তি এখন একটি পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে অবৈধ যৌনাচার চলছে নির্ভয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে যাথাযত কর্তৃপক্ষকে।