রাষ্ট্র পরিচালনায় খোদাভীরু নেতা নিযুক্ত হলে সত্যিকার অর্থে দেশ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। দেশের মানুষকে জুলুম করা, অত্যাচার করা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার করা বন্ধ হবে। নতুবা দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদেরকে রমযানে তাক্বওয়া অর্জন করে হাফিজ্জীর রাজনীতির প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেনের সঞ্চালনায়, সভাপতি হাফেজ জাকির বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহীনুর আলম আকন্দ প্রমুখ।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, হাফিজ্জী হুজুর রহ. শেষ বয়সে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চেষ্টা করেছেন। খেলাফত আন্দোলনের রাজনীতি প্রচলিত ধারার রাজনীতি নয়; আত্মশুদ্ধিমূলক রাজনীতি। হাফিজ্জী হুজুর রহ. যে তওবার ডাক দিয়েছিলেন তার উদ্দেশ্য একটাই। গুনাহ থেকে তওবা করে পরিশুদ্ধ হওয়া।
মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, হাফিজ্জীর মিশন বাস্তবায়ন করতে হলে খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যেক সদস্যকে সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার আগে তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জন করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। নিজের পরিবারের সদস্যদের গুনাহমুক্ত জীবনের পরিবেশ তৈরী করতে হবে। তিনি ফিলিস্তিনের গাযায় ইসরাঈলের ক্রমাগত নিঃসংশ হামলা করে শত শত নারী-শিশু হত্যার নিন্দা করে সকলকে ইহুদী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।