তালিবান সরকারকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশ স্বীকৃতি না দিলেও, আফগানিস্তানের তালিবান শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকা এড়ানোর একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে। সেটি হল প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা, যাতে করে ভবিষ্যতে তাদের সরকার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করতে পারে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত চারটি দেশ তালিবান নিযুক্ত কূটনীতিকদের স্বীকৃতি প্রদান করেছে। দেশগুলো হল চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং তুর্কমেনিস্তান। তবে, তাদের সবাই ৮ মাস ধরে শাসকের গদিতে বসে থাকা তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত মাসে, এই তালিকার সর্বসাম্প্রতিক দেশ হিসেবে রাশিয়া তালিবানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সে সময়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক, তালিবান কূটনীতিক জামাল নাসির ঘারওয়ালকে, মস্কোতে আফগানিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের প্রধান বা চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার বলেন, “পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনস্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা এটিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি।”
ৎযদিও জাখারোভা বলেন যে, এখনও “তালিবানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে কথা বলার” সময় আসেনি, তবুও রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের মনঃপুত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে, এমন পদক্ষেপ তালিবানকে অনুচিৎভাবে বৈধতা প্রদান করতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা “তালিবানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করছে। আর এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে মেয়ে ও নারীদের জন্য শিক্ষা গ্রহণ ও সফরে বাধাদানের মত বিষয়গুলো রয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে ঐ মুখপাত্র ভিওএ-কে বলেন, “তালিবানকে কোন ধরণের বৈধতা দেওয়ার বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মত কোন পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এটা নয়। এই পদক্ষেপটি তালিবানকে ভুল বার্তা প্রদান করে।”
তালিবান কূটনীতিকদের গ্রহণ করা সবগুলো দেশই আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বজায় রেখেছে।