তালেবানকে সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করে সশস্ত্র সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দরজা খোলা রেখেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো জানান, আফগান ইস্যুতে আর কী করা যায়, তা নিয়ে তিনি জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসছেন জি-৭ জোটের নেতারা। জি-৭ জোটের দেশগুলো হলো কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান।
সোমবার সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই তালেবানকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতাও তালেবান। এ কারণেই তালেবান সন্ত্রাসীর তালিকাতেই আছে। তাই তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা হতে পারে।
জাস্টিন ট্রুডো জানান, জি৭ আর কী করতে পারে, তা নিয়ে জোটের নেতাদের সঙ্গে তিনি অচিরেই আলাপ-আলোচনার অপেক্ষায় আছেন।
জি-সেভেনের বর্তমান সভাপতি যুক্তরাজ্য বলছে—তালেবানের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি তাদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক এবং দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া আফগান সহযোগিদের নিরাপদে ফেরাতে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা তা মঙ্গলবারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। ৩১ আগস্টের মধ্যেই দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
সোমবার মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বাইডেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা।
সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে বাইডেনের কয়েকজন উপদেষ্টা বিরোধীতা করেছেন। জি-৭ এর ভার্চুয়াল বৈঠকে বাইডেন এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।