তালেবানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা কোথায় রয়েছেন- সংগঠনটি দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলের পর থেকে ঘুরেফিরে সেই প্রশ্নই উঠছে।
আখুনজাদা পাকিস্তানের সেনা হেফাজতে রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানতে পেয়েছে। গত ছয়মাস ধরে তালেবানের এই শীর্ষ নেতার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি বলে ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। পবিত্র রমজান শেষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এক বিবৃতি দিয়েছিলেন আখুনদাজা। এর পর থেকে তিনি নিভৃতেই রয়েছেন। এমনকি দীর্ঘ দুই দশক পর তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর সংগঠনের শীর্ষ কয়েকজন নেতা দেশে ফিরলেও আখুনদাজা আড়লেই রয়ে গেছেন।
তালেবান নেতা আখতার মানসুর মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২৫ মে থেকে তিনি তালেবানের সুপ্রিম কমান্ডারের দায়িত্বে রয়েছেন।
আশির দশকে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তবে সামরিক নেতার তুলনায় একজন ধর্মীয় নেতা হিসাবে তার পরিচিতি বেশি।
আখুনদাজা ১৯৯০ এর দশকে আফগানিস্তানের শরিয়া আদালতের প্রধান ছিলেন। আখুনদাজা বয়স ৬০ বছর বলে ধারণা করা হয় এবং জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি আফগানিস্তানে কাটিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তিনি কোয়েটা শুরার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন। এরা মূলত পাকিস্তানের কোয়েটাভিত্তিক আফগান তালেবান নেতা।
দলের সুপ্রিম লিডার হিসেবে রাজনৈতিক, সামরিক ও ধর্মীয় বিষয়ের প্রধান আখুনদাজা। উচ্চশিক্ষিত আখুনজাদা সেই অর্থে তালেবানের হয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে অংশ নেয় না। বরং ইসলামের নানা ব্যাখ্যার কাজ করে থাকেন তিনি। যে সাত নেতার হাতে আফগানিস্তানের দায়িত্ব বর্তাবে বলে মনে করা হচ্ছে আখুনজাদা তাদের অন্যতম।
কিন্তু কেন পাকিস্তানের সেনার হেফাজতে রাখা হচ্ছে ৫০ বছরের নেতাকে? সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, হয়তো অ্যাবোটাবাদে লাদেন হত্যার মতো কোনো ঘটনা যাতে ঘটাতে না পারে মার্কিন সেনারা, সেজন্য আগাম সতর্কতা থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।