সারাদেশে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদের দেখা মিলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। তীব্র এই দাবদাহের মাঝেও রাতে কাঁথা গায়ে ঘুমাচ্ছেন দিনাজপুরের মানুষ।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাসহ আশে পাশের এলাকায় রাত নামলেই মৃদু হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। বিশেষ করে রাত দুইটার পর কাঁথা নিয়ে ঘুমান অনেকে। এ এলাকার মানুষের আরেকটি অন্যতম অভ্যাস হলো ফ্যান চালিয়ে গায়ে কাঁথা নেওয়া।
রাতে কাঁথা গায়ে নিয়ে শুয়ে থাকার কথা স্বীকার করে স্থানীয় বাসিন্দা সোলজার রহমান বলেন, কথাটি হাস্যকর হলেও সত্য। দিনে প্রচুর দাবদাহ থাকলেও রাতে খুব একটা গরম লাগে না। তাই কাঁথা গায়ে ঘুমাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, কথা সত্য। আইও রাতে কাঁথা গায়ে ঘুমাই। রাতে তাপ কমে ঠান্ডা লাগে।
শিক্ষক হাতেম আলী বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ সবার আগে শীত পাই যেমন গ্রীষ্মও আগে পাই। দিনে তাপমাত্রা থাকলেও রাতে ঠিকই কাঁথা নিয়ে ঘুমাতে হয়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলায় দিনে তাপপ্রবাহ চললেও রাতে শীত শীত লাগে। আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।