তুরস্কে সরকারি সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৬-০৮২০২১) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি। গত ১৮ আগস্ট ২০২১ দুপুরে ঢাকা হতে ইস্তানবুলে পৌছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত জনাব মাসুদ মান্নান। ইস্তানবুলে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মুহসিন দেরে (Muhsin Dere) এবং তুর্কি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইসমাইল দেমির (Ismail Demer) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান। সাক্ষাতে উভয়েই তুরস্কের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জামাদিসহ সকল প্রকার সহযোগিতা এবং সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলা ২০২১ এর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং সেখান প্রদর্শিত নানাবিধ সামরিক সরঞ্জামাদির ব্যাপারে অবহিত হন।
ইস্তানবুল হতে আঙ্কারা পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে অবস্থিত মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এর সমাধিস্থল এবং জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
আঙ্কারা অবস্থান কালে সেনাবাহিনী প্রধান তুর্কি চিফ অব ল্যান্ড ফোর্সেস জেনারেল মুসা আভ সেভের (Gen Musa Avsever) এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসের গুলের (Gen Yaşar Güler) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। উভয়ের সাথে সাক্ষাতে তুরস্ক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান। আলোচনায় উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ, প্রশিক্ষণ বিনিময়, ইত্যাদি বিষয়সমূহ প্রাধান্য পায়।
তুরস্ক সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি আনম্যানড্ এরিয়াল সিস্টেম (ইউএএস) এর অপারেশন কন্ট্রোল রুম, আর্মি এভিয়েশন সদর দপ্তর এবং তুরস্ক এর এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ ।
সফরের শেষ দিনে সেনাবাহিনী প্রধান তুরস্কের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (এনডিইউ) পরিদর্শন করেন এবং এনডিইউ এর কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তাঁকে সেখানে অবহিত করা হয়। এনডিইউ এর রেক্টর জনাব ইরহান আফইয়োনজু সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তুরস্কের ১ম আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেমাল ইয়েনি -ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফরের মাধ্যমে তুরস্ক এবং বাংলাদেশ তথা উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।