তুরস্ককে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনের পর তুরস্ককে যুদ্ধবিমান সরবরাহের অনুমোদন দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গ্রিসের কাছে এফ-৩৫ বিক্রিরও অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এই সপ্তাহে ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদের বিষয়ে তুর্কি সরকারের অনুমোদনের পর বাইডেন প্রশাসন এমন অনুমোদন দিল। এই পদক্ষেপটি ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণের একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে অতিরিক্ত গুরুত্ব পেয়েছে।
এসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তুরস্কের কাছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদনের বিষয়টি কংগ্রেসকে অবহিত করেছে। এছাড়া গ্রিসের কাছে ৮.৬ বিলিয়ন ডলারের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদনের কথাও কংগ্রেসকে জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদে তুরস্কের অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পরই এমন ঘোষণা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী তুরস্ককে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া আগের
ন্যাটো মিত্র তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে তার এফ-১৬ ফ্লিটকে আপগ্রেড করার চেষ্টা করেছে। তবে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ক্রয় এবং ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ আটকে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এতদিন তুরস্কের এমন আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান সেন্স বেন কার্ডিন শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্কের মানবাধিকের রেকর্ড নিয়ে তার উদ্বেগ রয়েছে, তবে তুরস্ক এটিকে উন্নত করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান বিক্রিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, তুরস্কের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে, ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ এবং এর শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে চলমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আমাদের বৈশ্বিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
ন্যাটোতে সুইডেনের আনুষ্ঠানিক যোগদান এখন হাঙ্গেরির উপর নির্ভর করছে। তারা শেষ অবশিষ্ট ন্যাটো মিত্র যেটি সুইডেনের সদস্যপদ অনুমোদন করেনি। মার্কিন ও ন্যাটো কর্মকর্তারা আশা করছেন যে, তুরস্কের অনুমোদনের পর হাঙ্গেরি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।