একটি যৌথ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প স্থাপন নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে তুরস্ক। ইসরাইলের হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত একাধিক গণমাধ্যম এই গোপন আলোচনার খবর ফাঁস করে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন তুর্কি সরকার ইহুদিবাদী ইসরাইলের মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার দাবি করে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা আঙ্কারার এ ধরনের বক্তব্যকে কপটতা উল্লেখ করে বলছেন, প্রকাশ্যে ও গোপনে তেল আবিবের সঙ্গে আঙ্কারার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিবেচনা করলে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুর্কি সরকারের বক্তব্যকে ‘কথার কথা’ বলে মনে হবে। সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্তজগ তুরস্ক সফর করে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ওই সাক্ষাতে এরদোগানকে অনেক বেশি বিনয়ী আচরণ করতে দেখা যায়।
ইসরাইলের হিব্রু ভাষার নিউজ ওয়েবসাইট ‘ইসরাইল ডিফেন্স’ উদ্ধৃত করে ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সহযোগিতায় ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে তুরস্ক পর্যন্ত গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন নিয়ে এই আলোচনা চলছে। তবে আলোচনা জটিল হওয়ায় তা আরো বেশ কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আলোচনায় জটিলতার কারণ হচ্ছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এই পাইপ লাইনের সঙ্গে নিজের গ্যাস ইউরোপের দক্ষিণ অংশে রপ্তানি করার লক্ষ্যে আলাদা একটি পাইপ লাইন স্থাপন করবে। ইসরাইলের লুইতানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে তুরস্ক হয়ে এই গ্যাস ইউরোপে যাবে যেখানে এই জ্বালানী রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেছেন, ইহুদিবাদী প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্তজগের সাম্প্রতিক আঙ্কারা সফরের সময় এ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয় এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের জ্বালানীর বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে।