অবৈধ পথে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যাওয়ার সময় তুষারপাতে জরুল ইসলাম শাহীন (২৮) নামে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে মশিউর রাব্বী নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি ওই যুবকের ছবি দেখে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানান। শাহীনের লাশ তুরস্কের ইস্তানবুলের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলেও জানান ওই প্রবাসী।
গত ২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যাওয়ার সময় প্রবল তুষারঝড়ের কবলে পড়েন সবাই। এর পর থেকে শাহীনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নিহত নজরুল ইসলাম শাহীন ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহীপুর এলাকার আবদুর রৌউফ মাস্টারবাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে।
শাহীনের বাবা মিজানুর রহমান জানান, প্রায় ১৪ দিন ছেলের খোঁজ না পেয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলের ছবি ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে ছেলের সন্ধান চাই। মঙ্গলবার তুরস্ক থেকে মশিউর রাব্বী নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি শাহীনের ছবি দেখে এবং পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
মিজানুর রহমান ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শাহীনের মামাতো ভাই নাসির উদ্দিন মানিক জানান, কিছু বন্ধুর সঙ্গে শাহীন তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, তুরস্কে তুষারপাতে নজরুল ইসলাম শাহীন নামে এক যুবক নিহতের খবর পেয়েছি। লাশ দেশে আনতে নিহতের পরিবার যদি পৌরসভার কোনো সহযোগিতা চায় তা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তার চেষ্টা করা হবে।
শাহীন ফেনীর শহীদ মেজর সালাহ উদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৯ সালে জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে ওমান যান তিনি। সেখানে দুই বছর থাকার পর তিনি তুরস্ক চলে যান।