রোজাকে ত্রুটিমুক্ত রাখা আবশ্যক। কারণ, শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। রোজার মূল উদ্দেশ্য অর্জন হয় পাপাচার পরিহার ও অতীত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করার মাধ্যমে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ, যতক্ষণ না তা ত্রুটিযুক্ত করা হয়।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২২৩৩)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসরা বলেন, ‘রোজাকে ঢালস্বরূপ বলার কারণ হলো তা মানুষকে পৃথিবীতে পাপাচার থেকে রক্ষা করে এবং পরকালে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করে।’ (আরবাউনান-নাবাবিয়্যা বি-তালিকি ইবনে উসাইমিন, পূব্জা ৫৫)
রোজা রেখে পাহানার সম্পর্কিত শরীয়ত নির্ধারিত বিধানগুলো মেনে চলা আবশ্যক। অন্যথায় রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রোজা অবস্থায় কারো দাঁতে আটকে থাকা খাদ্য-টুকরা পেটে চলে গেলে রোজা ভাঙবে কিনা- এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় অনেকের মনে।
এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আলেমরা বলেন, দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার যদি পেটে চলে যায় তাহলে লক্ষণীয় হলো পেটে যাওয়া খাবার ছোলা বুটের সমান বা তার চেয়ে বড় কিনা- যদি এই খাবার ছোলা বুটের সমান বা তার চেয়ে বড় হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, আর যদি ছোলা বুটের থেকে ছোট হয় তাহলে এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না, তবে এরূপ করা মাকরূহ।
আলেমদের মতে, তবে যদি কেউ মুখ থেকে খাবার বের করার পর গিলে ফেলে তা যতই ছোট হোক না কেন রোজা ভেঙে যাবে, এবং কাজা আদায় করতে হবে। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/২০০)