দাঁত পরিষ্কারের প্রতি মহানবী সা. যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত থাকতে বলেছেন। এক দীর্ঘ হাদিসের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,… যে ব্যক্তি এ গাছ (পেঁয়াজ, রসুন) থেকে কিছু খাবে, সে যেন ততক্ষণ আমাদের কাছে না আসে, যতক্ষণ না সে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়… (সুনানে আবূ দাউদ, হাদিস, ৩৭৮৩)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবসময় মুখকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতেন। নিজে পরিচ্ছন্ন থাকতেন, উম্মতকেও পরিচ্ছন্ন থাকার নির্দেশ দিতেন। পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি দিনের শুরুতেই দাঁত পরিষ্কার করতেন।

এক হাদিসে হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (নামাজের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন’। (বুখারি ও মুসলিম, ৩৪৮)।

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন।’ (আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাত, হাদিস, ৩৫২)

আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা মিসওয়াক করো। কেননা, তা মুখের পবিত্রতার উপায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম।’ (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২৮৯; ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১০৭০)

মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য পূর্ববর্তী যুগের নবী-রাসূলরাও মিসওয়াক করতেন। এবং এই কাজ তাদের বিশেষ সুন্নতের অংশ। এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নবী-রাসুলদের সুন্নত হলো চারটি। যথা—১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা, (তিরমিজি, হাদিস, ৩৫১)

এই হাদিসগুলোর মাধ্যমে বুঝা যায়,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি রাসূলের ভালোবাসা ও দুর্গন্ধের প্রতি তার ঘৃণা ছিলো প্রচুর। তিনি গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে মুখকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে মিসওয়াক দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতেন। যেনো দুর্গন্ধ দূর হয় এবং ঘুমের চাপের পর কাজের প্রতি তৎপরতা সৃষ্টি হয়।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

গর্ভবতী স্ত্রী রেখে জানাযায় শরীক হলে কি সন্তানের ক্ষতি হয়?

নূর নিউজ

দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন শেরপুরের এক মা

নূর নিউজ

বাহরাইনের সবচেয়েপ্রাচীন যে মসজিদটি কালের সাক্ষী

নূর নিউজ