দিল্লিতে করোনার প্রকোপ, দারুল উলুম দেওবন্দে ফের বিধিনিষেধ জারি

ভারতে মহামারী (কোভিড-১৯) করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপমহাদেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ আবাসিক ছাত্রদের জন্য নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব পেডে প্রকাশিত নোটিশে বলা হয়, ‘ করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট শুরু হওয়ায় পুরো উত্তর প্রদেশ ও দেওবন্দ এলাকায় রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

নাযেমে দারুল একামা’র স্বাক্ষরিত নোটিশে আরো বলা হয়, তাই দারুল উলুম দেওন্দের সকল ছাত্রকে বাইরে বের না হয়ে নিজ নিজ কামরায় নিজস্ব মোতাআলায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এদিকে ভারতে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, রাজধানী দিল্লিতে আজ প্রায় ১০ হাজার নতুন কোভিড রোগী সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ১০০টি পরীক্ষার বিপরীতে সনাক্তের হার ১০% বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল সনাক্তের হার ৮.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সোমবারের ৬.৪৬ শতাংশ থেকে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে গেছে। আর ‘দিল্লির জন্য, এটি পঞ্চম তরঙ্গ’।

দিল্লির বাসিন্দাদের সতর্ক করে জৈন বলেন যে, যদিও অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রনের লক্ষণগুলো হালকা বলে মনে হচ্ছে, তথাপি কোভিড-সম্পর্কিত সমস্ত নিয়ম-কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে বেসরকারি হাসপাতালের ৪০ শতাংশ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জৈন আরও বলেন যে, ওমিক্রন সনাক্তের জন্য দিল্লি থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ নমুনা এখন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে, কারণ সমস্ত নমুনার সিকোয়েন্সিং সম্ভব নয়। তবে কোভিড টেস্টিং বাড়ানো হয়েছে এবং আজ প্রায় ৯০ হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে।

দিল্লিতে গতকাল ৫৪৮১ জনের করোনা ধরা পড়েছে এবং তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির প্রাদেশিক সরকার নতুন বিধি-নিষেধ ঘোষণা করেছে।

দিল্লিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং কোভিড সংক্রমণ সীমিত রাখতে সরকারি অফিসের জন্য বাড়ি থেকে কাজের নিয়ম শুরু করা হয়েছে। নতুন বিধিনিষেধের অধীনে প্রাইভেট খাতের অফিসগুলো শুধুমাত্র ৫০% শতাংশ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারবে। দীর্ঘ সারি এবং ভিড় এড়াতে বাস এবং দিল্লি মেট্রোর যানবাহনগুলো পূরোপুরি চলবে।

 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এর আগে বলেছিলেন যে, তার সরকার জাতীয় রাজধানীতে দিনে এক লাখ পর্যন্ত কোভিড রোগীর ব্যবস্থাপনা করতে প্রস্তুত। দিল্লির পরিকল্পনায় একটি কোভিড ওয়ার রুম রয়েছে, যেখান থেকে হাসপাতালের বেড, রোগী, অক্সিজেন ইত্যাদি সম্পর্কে জেলা এবং হাসপাতাল-ভিত্তিক তথ্যের হিসাব রাখা হবে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘চিন্তার কিছু নেই। মাস্ককে আপনার ঢাল বানিয়ে ফেলুন’।

ওদিকে, এক ভয়ানক সতর্কবার্তায় সরকারি সূত্রগুলো গতকাল বলেছে যে, সংক্রমণের বর্তমান হার বজায় থাকলে দিল্লিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দিনে ২০-২৫ হাজার রোগী সনাক্ত হতে দেখা যেতে পারে এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়তে পারে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মাওলানা কালিম সিদ্দিকীকে মুক্ত করতে লড়বেন মাহমুদ মাদানী

নূর নিউজ

রমজানের শেষ দশক : আল্লাহর দুয়ার ক্ষমার জন্য উন্মুক্ত

আনসারুল হক

রমজানের বরকত পেতে নিজের অন্তরকে হিংসা বিদ্বেষ থেকে মুক্ত রাখুন

নূর নিউজ