মুসলিম পর্যটকদের আগ্রহের প্রধান কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের মতো বাংলাদেশও পর্যটন খাত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করতে পারে। এ জন্য দেশে মুসলিমবান্ধব পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও পর্যটন বোর্ড আয়োজিত ‘মুসলিম পর্যটন বিকাশে করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ডক্টর ওয়ালিউর রহমান খান আজহারী।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ইসলামিক ঐতিহ্য ও স্থাপনাগুলোকে প্রচারের মাধ্যমে ইসলামিক ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটতে পারে। এ জন্য গণমাধ্যম ছাড়াও প্রতিটি মসজিদের ইমাম, সামাজিক মাধ্যম নিয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তিসহ পর্যটক নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সবার আগে মুসলিম ট্যুরিজম সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণাগুলো বদলানো জরুরি।
তারা বলেন, বাংলাদেশকে মুসলিম ট্যুরিজমে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যম, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর কোম্পানি এবং সামাজিক মাধ্যম নিয়ে কাজ করে এমন ব্যক্তি ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে মুসলিম ট্যুরিজম অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (গবেষণা শাখা) নূর মোহাম্মদ আলম, ফাউন্ডেশনের পরিচালক (সমন্বয়) মো. মহিউদ্দিন মজুমদার, ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এ আর খান প্রমুখ।