দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে ৩ বার সূরা ইখলাস পড়া যাবে?

এশার নামাজের পর তিন রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। হানাফি মাজহাব মোতাবেক বিতর নামাজ তিন রাকাত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসুল (সা.) বিতরের নামাজ তিন রাকাত আদায় করতেন।’ (সুনান দারু কুতনি, হাদিস : ১৬৫৯; বাদাইয়েউস সানায়ি, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২৭২)

সাদ ইবনে হিশাম (রহ.) বর্ণনা করেন, আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন, রাসুল (সা.) বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮; হাদিস ১৬৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৪/৪৯৪, হাদিস ৬৯১২)।

বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য যেকোনও সূরা পড়ার পর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে এবং তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে (অনুচ্চ স্বরে) দোয়া কুনুত পড়তে হয়।বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।

হাদীসে বর্ণিত দোয়ায়ে কুনুত হিসেবে প্রসিদ্ধ দোয়া- যেমন ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা’ এটা পড়া সুন্নত। তাই হাদীসে বর্ণিত এ দোয়া কেউ না জানলে দ্রুত শিখে নিবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যেকোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। কারণ, কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা।

যেকোনও দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কোরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম নববীর ‘আল-আযকার ৫০)

তবে কেউ দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়ার অভ্যাস করে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতামত দিয়েছেন আলেমরা।

কেউ যদি এক্ষেত্রে কোনো দোয়াই না পড়ে তাহলে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৭০; আলবাহরুর রায়েক ২/৪২; রদ্দুল মুহতার ১/৪৬৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২৮০)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আসরের পরে ঘুমানো যাবে?

নূর নিউজ

জুমার নামাজ কাজা হলে মুসাফির জোহর কত রাকাত পড়বে?

নূর নিউজ

পবিত্র কুরআনে সাহাবিদের কথা যেভাবে বলা হয়েছে

নূর নিউজ