দ্বন্দ্ব নিরসনে নবীজির (সা.) বিচক্ষণতা

মুফতি আরিফুল ইসলাম

পুরাতন কাবাঘর পূন:নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। মক্কার প্রত্যেক গোত্র পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা একত্রে এ ঘর নির্মান করবো। সমস্যা সৃষ্টি হয় হাজরে আসওয়াদ স্থাপন নিয়ে। গোত্রের প্রত্যেক ব্যক্তি দাবি করে আমিই এ মূল্যবান পাথর স্থাপন করবো। এনিয়ে শুরু হয় চরম দ্বন্দ। প্রত্যেকের মনের বাসনা জীবন উৎসর্গ করে হলেও এ সম্মান অর্জন করবো। প্রবীন এক বোদ্ধা আবূ উমাইয়া এগিয়ে এসে মিমাংসার কথা শুনালেন। বললেন- শান্ত হও তোমরা। আগামীকাল কাবার দরজা দিয়ে সর্ব প্রথম যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে সেই এর মিমাংসা করবে। সকলে এক বাক্যে তার প্রস্তাব গ্রহণ করলো।

পরের দিন অপেক্ষার প্রহর গুনছে সবাই। কে সেই সৌভাজ্ঞবান ব্যক্তি যে এ দায়িত্ব পালন করবে। সর্বপ্রথম যে মানুষটি এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন তিনি আর কেউ নন, প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসূলল্লাহ সা.। সকলে সমস্মরে বলে উঠলো আল-আমীন, আল-আমীন। এ ধ্বনি প্রতি ধ্বনিত হল পুরো কাবা। নবীজি সা. -এর বয়স তখন ৩৫ বছর।

হুজুর সা. বললেন- হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করে যারা সৌভাগ্যবান হতে চায় তারা নিজ গোত্রের একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করুক। হুজুর সা. নিজ চাদর মোবরক বিছালেন। গোত্র প্রতিনিধিদের ডাকলেন। সবাই এর প্রান্ত ধরুন। চাদরের প্রান্ত ধরে উচূঁ করলে আল্লাহর রাসূল সা. নিজ মোবারক হাতে যথাস্থানে তা স্থাপন করে দিলেন। সন্তুষ্টপুর্ণ মিমাংসা দেখে সকলে বল উঠল মারাহাবা। খুশীমনে যার যার ঘরে ফিরে যায়। -সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম। সূত্র : সীরাতে মুস্তফা সা.

লেখক : লেখক ও আলোচক।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মসজিদে কোনও মুসল্লির জন্য কাতার নির্ধারিত রাখা যাবে?

নূর নিউজ

মায়ের সেবা করলে যে পুরস্কার মিলবে

নূর নিউজ

সুন্দর জীবন-মৃত্যু লাভের আমল ও দোয়া

নূর নিউজ