তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকীর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল এখন নরওয়েতে অবস্থান করছেন। গত আগস্টে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউরোপের কোনো দেশে এটি তাদের প্রথম সফর।
তিন দিনের এই সফরে রোববার তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের সমান অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত নারী অধিকারকর্মী, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
তালেবান এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গের মধ্যে আলোচনার ফলাফল বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান সকল আফগানদের বসবাসের জায়গা তথা একটি সাধারণ বাড়ি (কমন হোম)। দেশটির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাগত অবস্থা উন্নয়নে একে অন্যকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন যে, পরস্পরকে বোঝাপড়া এবং যৌথ সহযোগিতা আফগানিস্তানে বিদ্যমান সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদলের অসলোর উপকণ্ঠে সরিয়া মারিয়া হোটেলে রুদ্ধদ্বার এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও মানবিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র্রসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আফগানিস্তানের ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু কোনো দেশই এখনো তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি।