দেশের সকল নাগরিকদের আগামী রোববার চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি। যদি রোববার (১০ মার্চ) চাঁদ ওঠে তাহলে পরের দিন থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান।
আশা করা হচ্ছে, আরবি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস শাবানের চাঁদ ১০ মার্চ সন্ধ্যায় পূর্ব আকাশে দেখা যাবে। এরপর ওইদিন রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে শুরু হবে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম-সাধনা।
যদি কেউ চাঁদ দেখতে পান তাহলে তাদের কমিটির দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্যও বলা হয়েছে।
আমিরাতের পাশপাশি সৌদি আরবও ১০ মার্চ রাতে চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নিয়েছে।
পবিত্র রমজান মাস শুরুর তারিখ নির্ধারণে ইসলামিক দেশগুলো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে থাকে। এ বছর আরব বিশ্ব ও অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলোতে ১০ মার্চ চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তবে এদিন রমজানের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র’। এর বদলে পরের দিন ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং ১২ মার্চ থেকে মুসল্লিরা রোজা রাখা শুরু করবেন।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে।
কিন্তু এদিন আরব বিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। ওইদিন চাঁদটি ইসলামিক বিশ্বের শহরগুলো থেকে সূর্যাস্তের পরপরই অস্ত যাবে।
সৌদি আরবের মক্কা শহরে ওইদিন সূর্যাস্তের ১৩ মিনিট পর নতুন অর্ধচন্দ্রটি অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৬ ঘণ্টা ২২ মিনিট। অপরদিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সূর্যাস্তের ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেছেন, নতুন জন্ম হওয়া চাঁদ দেখতে হলে সূর্যাস্তের পর কমপক্ষে ২৯ মিনিট এটি আকাশে থাকতে হবে, চাঁদটির বয়স হতে হবে ১৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের বেশি এবং সূর্য ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আগামী ১০ মার্চ এর কোনোটিরই সম্ভাবনা নেই।
সূত্র: খালিজ টাইমস