আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই মুখের দুর্গন্ধসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। প্রতিদিন দু’বার ব্রাশ করেও দাঁতের হলুদে ভাবসহ মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের মতো সমস্যায় ভুগতে হয়। এমনকি নামি-দামি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করেও আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাওয়া যায় না। যার ফলে অনেককেই হতাশায় পড়তে দেখা যায়। তবে হতাশ না হয়ে বিনামূল্যে ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
একটা সময় বেশিরভাগ মানুষেরই নিমডাল দিয়ে দাঁত মাজার অভ্যাস ছিল, তবে বর্তমানে কিছুসংখ্যক মানুষ আছেন যারা এখনও এ অভ্যাসের ধারা বজায় রেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিমডালে থাকে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ। যা সহজেই আমাদের মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ধ্বংস করে দিতে পারে। দাঁতের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে এই নিমডাল।
নিউট্রিশনিস্টের মতে, নিমের ডালে শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার ফলে মুখের মধ্যে যে জীবাণু জন্মায় তা মূল থেকে নির্মূল করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিমডাল দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে মুখে প্লাক তৈরি হয় না। যার ফলে মুখে দুর্গন্ধেরও সৃষ্টি হয় না। এতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গোঁড়া থেকে সব ধরনের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটি ব্যাবহারের ফলে দাঁতের হলুদে ভাব দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
জেনে নেয়া যাক নিমডাল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা এবং উপায়-
* ব্যবহারের আগে নিমডাল ভালো করে ধুয়ে নিন।
* গাছের ডাল ভালো করে ভেঙে তবেই ব্যবহার করুন।
* নিমডাল দিয়ে দাঁত মাজার আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে নেবেন। এটি দাঁত ও মাড়িকে মজবুত করে।।
* চিবিয়ে চিবিয়েও ব্রাশ করা যেতে পারে।
বিঃদ্রঃ প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য যা কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। বিস্তারিত জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।