নিয়মিত নামাজ পড়া ব্যক্তির আমল নিয়ে হাদিসের সুসংবাদ

মেরাজের রাতে আল্লাহ তায়ালা কাছ থেকে নামাজ উপহার এনেছিলেন রাসূল সা.। এজন্য নামাজকে মুমিনের মেরাজ বলা হয়। রাসূল সা. মেরাজ শেষে যখন ফিরছিলেন আল্লাহ তায়ালা তাঁর উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিলেন। আল্লাহর দেওয়া উপহার নিয়ে ফেরার পথে মুসা আ.-এর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে চেয়ে রাসূল সা.-কে জিজ্ঞাসা করেন—

আল্লাহ তায়ালা আপনার উম্মতের উপর কী ফরজ করেছেন? রাসূল বললেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। তিনি বললেন, আপনি আপনার পালনকর্তার নিকট ফিরে যান, কারণ, আপনার উম্মত তা আদায় করতে পারবে না।

রাসূল ফিরে গেলেন। আল্লাহ তায়ালা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। ফেরার সময় মুসা আ. বললেন, আপনি আরও আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মাত এই পরিমাণও আদায় করতে পারবে না। মুসা আ.-এর পরামর্শে কয়েক দফায় আল্লাহ তায়ালার কাছে গিয়ে সর্বশেষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাকি থাকলো।

তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোন রদবদল হয় না। (বুখারি, হাদিস : ১৬৩৬, ৩৩৪২; মুসলিম, হাদিস :৭৪, ১৬৩, আহমাদ, হাদিস : ২১১৯৩)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করা সবার জন্য ফরজ। নামাজ আদায়ে অনেকের মাঝেই গড়িমসি ভাব দেখা যায়। অথচ যারা নামাজ পড়েন তাদের জেনে রাখা উচিত নামাজ শুধু আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে না, বরং দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের জীবন সহজ ও স্বস্তিদায়ক করে। মানুষকে আল্লাহর পুরস্কারের উপযোগী করে তোলে।

যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার সব আমল ঠিক হওয়ার সুসংবাদ শুনানো হয়েছে হাদিসে। রাসূল সা. বলেছেন, যার সালাত সুন্দর হবে তার অন্যান্য আমলগুলোও শুদ্ধ ও সঠিক হয়ে যাবে। বিপরীতে যার সালাত শুদ্ধ নয়, তার অন্য আমলও শুদ্ধ হবে না। (সহিহ তারগীব, হাদিস : ৩৬৯)।

নামাজ নিয়মিত আদায়ের অন্যতম পুরস্কার হতে পারে উপরে বর্ণিত হাদিসটি। এছাড়াও অন্য হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করলে যেমন কোন ময়লা থাকে না, তেমনই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।(বুখারি, হাদিস : ৫২৮)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, কবীরা গুনাহ না করলে প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমাবারের জুমা আদায়-এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া পাপরাশি এমনিতেই মুছে যায়। (মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)
(৩) কোন মুসলিম যখন ভালো করে ওযু করে পাঁচ বেলা সালাত আদায় করে। তার পাপরাশিগুলো এমনভাবে ঝরে যায়, যেমনভাবে শুষ্ক ডালা থেকে এর পাতাগুলো ঝরে যায়। (সহীহ তারগীব: ৩৫৬

অপর হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তুমি বেশি বেশি আল্লাহকে সিজদা কর। কেননা, তুমি যখনই একটা সিজদা কর তখনই এর বিনিময়ে জান্নাতে (আল্লাহ) তোমার একটা মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটা গুনাহ ক্ষমা করে দেন। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮)।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নামাজ পড়ার জন্য পবিত্র কাপড় পাওয়া না গেলে কী করবেন?

নূর নিউজ

শবেবরাতে কী করা যাবে, কী করা যাবে না

নূর নিউজ

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ইসলাম কী বলে?

নূর নিউজ