নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবক্স ভর্তির ঘটনা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, আমি শুনেছি ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। অন্য কোনো দেশে আমি এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি। আশা করব, আগামী নির্বাচনে তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। পুলিশ কর্মকর্তারাও আরো সতর্ক হবেন।
আজ রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ক‚টনীতিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাপান দূতাবাস সহিংসতা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। এটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। কারণ জাপান কোনো দেশের নির্বাচনের পর বিবৃতি দেয় না।
নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আমরা চাই, বাংলাদেশ আরো সামনে এগিয়ে যাবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। সেজন্য আমাদের চাওয়া থাকবে, নির্বাচনে গণতান্ত্রিক উপায়ে সব দল অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আশা করি বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য জটিল বিষয়। জাপানের কাছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সবসময়ই প্রাধান্য পাবে। তবে মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত নয়।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলগত সহায়তা দিতে জাপান প্রস্তুত রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।