নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন: মেনন

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা হল বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। বিশ্বের অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে প্রায়ই এ ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত চায়না বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ প্রকল্পের ১০ বছর পূর্তির ছবি প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, গত ১০ বছরে চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েরটিভ প্রকল্পটি পৃথিবীতে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিআরআই অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। শুধু এশিয়া, আফ্রিকা নয় ইউরোপেও এর বিস্তার ঘটেছে। বিআরআই শুধু উন্নয়ন নয় কিছু রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

পশ্চিমারা এটাকে রাজনৈতিক বলয় ভাবেন। বাংলাদেশের অনেকে ভাবে বিআরআইতে যোগ দেয়া মানে চীনা ঋণের ফাঁদে পড়া। এটা তারা প্রচার করে বেড়ান। শ্রীলঙ্কার সাথেও তুলনা করেন। আসলে তারা চীনা ঋণের ফাঁদের কথা বলে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। তারা প্রায়ই বলেন এতো উন্নয়ন দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। উন্নয়ন না করে গণমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আমি বলবো উন্নয়ন হলে দেশের উন্নতিও হয়। পদ্মা সেতু দেশের উন্নতি ও অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করছে। বিআরআই নিয়ে রাজনীতি আছে, এটা থাকবে। একটি পক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়েও অপপ্রচার কুৎসা রটিয়েছে। পশ্চিমারা এটা সব সময়ই করে থাকে।
তিনি বলেন, আমরা যখন বিআরআইকে মূল্যায়ন করবো। তখন আমাদের জন্য ভাল হবে। চীনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চীনের ভূমিকা অতুলনীয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চীন নানাভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। চীন প্রাচীনকাল থেকে আমাদের সাথে জড়িত। চীন এখন নব জাগরিত দেশ। বিশ্ব এখন তাদের দেখে অবাক হয়। চীন সমৃদ্ধ শক্তি বিশ্বকে তারা এখন লিড করছে। চীনের সাথে আমাদের স্বচ্ছ বন্ধুত্ব। সম্মান ও আস্থার সাথে আমাদের সম্পর্ক চলমান রয়েছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন একটি অগ্রসর ও অগ্রগামী দেশ। চীনের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব বহুমূখী। চীনের যেমন বাংলাদেশেকে অনেক কিছু দেয়ার আছে। এবং আমাদেরও তাদের দেয়ার অনেক কিছু আছে। এটাই প্রকৃত বন্ধুত্ব।

চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এইচ ই ইয়ান হুয়ালং বলেন, চীনা বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ (বিআরআই) শুধু কোন প্রকল্প নয়। এটি দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া আফ্রিকা ও ইউরোপের অবকাঠামো উন্নয়নের রোডম্যাপ। এতে যারাই যুক্ত হয়েছে তারাই লাভবান হয়েছে। চীন সকলকে সহায়তা করতে চায়। প্রেসিডেন্ট শি এই সহযোগীতার চিন্তা নিয়েই এই প্রকল্প চালু করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে অনেক দেশকে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম বিআরআই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। শুধু অবকাঠামো নয়, প্রযুক্তিগত খাতেও প্রতিনিয়ত চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া বলেন, বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ (বিআরআই) বাংলাদেশের সাথে তাদের বন্ধুত্বের ১০ বছর পূর্ণ করেছে। বিআরআই হল প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর চিন্তা চেতনার একটা বিকশিত রূপ। বিশ্বকে উজ্জীবিত করতে তিনি এটা তৈরি করেছেন। এতে সফলতাও পেয়েছেন। বেল্ট এন্ড রোড ইনেশিয়েটিভ শুধু একটা উন্নয়নের প্রজেক্ট নয়। এটা বিশ্বকে একত্রিত করার একটা প্রয়াস।

অনুষ্ঠানে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সিপিবি সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মাছ-মাংস-মুরগি- সবজিতে ‘আগুন’, ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

নূর নিউজ

দরগা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মুহিব্বুল হকের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল

নূর নিউজ

ডিজিটাল সিস্টেমে ভাষা শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

নূর নিউজ