হযরত মুসা ও তার ভাই হারুন (আ.) যখন মিশরের রাজা ফেরাউনের কাছে এক আল্লাহর দাওয়াত নিয়ে যান, ফেরাউন জিজ্ঞেস করে, ‘হে মুসা, তোমাদের রব কে?’
মুসা (আ) বলেন— ‘তিনিই আমাদের রব, যিনি সকল বস্তুকে আকৃতি দিয়েছেন, তারপর তিনিই পথনির্দেশ করেছেন।’ (সুরা ত-হা, আয়াত ৫০)
পৃথিবীতে যত রকমের জিনিস আছে, সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। সূর্য আমাদের তাপ দেয়, সেই তাপে গাছ বেড়ে ওঠে, ফল পাকে। চাঁদের প্রভাবে জোয়ার-ভাটা হয়, আর এর সাহায্যে সাগরে উৎপন্ন হয় লবণ। গাছ ও সমুদ্র অক্সিজেন দেয়, আর এটাই আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান উপকরণ।
এই যে প্রত্যেকটি জিনিস যে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে হচ্ছে, এটাই আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বড় নেয়ামত। যদি এমন হয়—সূর্য নির্দিষ্ট নিয়মে তাপ দিচ্ছে না, তাহলে সব গাছ মরে যাবে, আর আমরাও খেয়ে বাঁচার মতো কিছু পাব না।
যদি সাগরে লবণ না হয় কিংবা গাছ অক্সিজেন না দেয়—পৃথিবী নামক এই সুন্দর গ্রহ আমাদের জন্য মৃত্যুপুরি হয়ে যাবে। তাই এই নিয়মতান্ত্রিকতা আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত, এর জন্য আমাদের শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
এরপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে নেয়ামত দিয়েছেন, তার নাম কোরআন। মানুষ তার জীবনকে যেন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করতে পারে, শয়তানি শক্তি যেন তাকে খেয়ে ফেলতে না পারে, এর জন্য আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদের এই নেয়ামত দিয়েছেন। এটাই মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত।
মানুষের অবশ্যই উচিত এই নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা, এবং কোরআনকে বাস্তব জীবনে আনা।
কোরআনে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প আছে। এই সব গল্প নিছক ভালো লাগার জন্য নয়, বরং এর শিক্ষা জীবনে প্রয়োগের জন্য। (সুরা আ’রাফ, আয়াত ১৭৬)
আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের একটি পদ্ধতি হলো—সেসব গল্প পড়ে চিন্তাফিকির করা ।