আগামী ৩ থেকে ৫ মার্চ’২৩ ইং পঞ্চগড় জেলার আহমদ নগরে ‘আহমদিয়া জামাত’ কর্তৃক আয়োজিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী জাতীয় ইজতেমা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগন।
আজ (১ মার্চ ২০২৩) গনমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, আল্লামা আব্দুল আওয়াল, আল্লামা আবুল কালাম, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা মুবারকুল্লাহ্, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী পীর সাহেব শর্ষিনা, মাওলানা শাব্বীর আহমাদ রশীদ, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আনওয়ারুল করীম যশোর, মাওলানা শওকত হুসাইন সরকার, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা ইমাদুদ্দীন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মুফতী মাসউদুল করীম, মুফতী কামাল উদ্দিন বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় (আহমদিয়া জামাত)-এর পক্ষ থেকে আগামী ৩, ৪, ৫ মার্চ’২৩ ইং পঞ্চগড় জেলায় ‘জাতীয় ইজতেমা’ নামে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান আকিদা বিধ্বংসী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে তা বন্ধের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারা বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় (তথাকথিত আহমদিয়া জামাত) সারা বিশ্বের সর্বস্তরের ওলামা মাশায়েখ, মুফতিয়ানে কেরাম তথা; সব মুসলমানের ঐকমত্যে কাফের, অমুসলিম ও সংখ্যালঘু হিসেবে সাব্যস্ত। কারণ কাদিয়ানিরা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা: কে সর্বশেষ নবী মানে না, তারা মির্জা গোলাম আহম্মদ কাদিয়ানিকে নবী হিসেবে বিশ্বাস করে। অথচ প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা: যে সর্বশেষ নবী এ কথা পবিত্র কুরআনের শতাধিক আয়াত এবং আড়াই শতাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তারা কুরআনের এসব আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদিসগুলো অস্বীকার করার কারণে কাফের হয়ে গেছে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।
তারা হুশিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, যদি তাদের ইজতেমা বন্ধ করা না হয় এবং এর ফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তবে এর দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে। যেকোনো মূল্যে কাদিয়ানিদের ইজতেমা বন্ধ করতে হবে।