আমরা জানতে পেরেছি, পঞ্চগড়ের বোদা থানাস্থ শালশিড়ি ইউনিয়নের মতিউর রহমানের ছেলে রাকিব ও তার পরিবারের নয় সদস্যের ওপর কাদিয়ানি সন্ত্রাসী জয়নালের ছেলে রানা, রাজিব, রাসেল ও শামসুজ্জামানের ছেলে আশরাফুল এবং ভাড়াটে মাস্তান হাসান গং হামলা চালিয়েছে। হামলায় হাসান ও আশরাফুল নেতৃত্ব দেয়।
এই ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারী বেলা তিনটায় আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের খিলগাঁওস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে রাকিব ও তার পরিবারের ওপর হামলাকরী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় তৌহিদী জনতা দেশব্যাপী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। যা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিগত প্রায় ৩ যুগ যাবত “আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়তের” নেতৃত্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু সরকার এই দাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপ নাকরায় দিনদিন তাদের অপতৎপরতা বেড়ে চলেছে।
সভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত স্মারকলিপি গ্রহন ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসের জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয় অনতিবিলম্বে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, সহকারী মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইযহার, সহকারী মহাসচিব মুফতী সিব্বির আহমাদ কাসেমী, দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আল্লামা জহুরুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আশেকুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মুফতী ওমর ফারুক, মুফতী আল-আমীন ফয়জী, মুফতী মুমিনুল হক, মুফতী কামাল উদ্দীন, মুফতী সুলতান আহমাদ প্রমূখ।