নূর নিউজ: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির সঙ্গে পর পর ধাক্কা লাগার পরে এবার নড়ে চড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এবার পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে নতুন রুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন এ রুট দিয়েই ফেরিগুলোকে চলাচল করতে হবে।
রোববার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এখন থেকে পদ্মা সেতুর ১১ থেকে ১৪ নম্বর পিলারের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করবে। সেই সঙ্গে বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মাগুরখণ্ড এলাকায় মূল পদ্মা নদীতে আসার পর ফেরি ওপরের দিকে তিন কিলোমিটার নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই পদ্মা সেতুর পিলারগুলোকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান বলেন, ফেরি চলাচলের নতুন রুট হিসেবে ১১, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর পিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ফেরির চালকেরা মূলত ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, ফেরি বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মূল পদ্মায় আসার আগেই মাগুরখণ্ড চ্যানেল থেকে ওপরের দিকে (স্রোতের অনুকূলে) তিন কিলোমিটার যাওয়া নিশ্চিত করতে চ্যানেলের শেষ মাথায় একটি বয়া (আধুনিক বাতি যুক্ত) বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিন কিলোমিটার গিয়ে এল আকৃতির রুটে ফিরে পদ্মা সেতুর নিচে দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাবে ফেরি। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাওয়া ঘাটের দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল স্পিডবোট মোতায়েন করা হয়েছে। ফেরির গতিপথ বুঝে চালককে আগেই সতর্ক করবে তারা।
গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে কাকলি নামের একটি ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল। তার চার দিন আগে ৯ আগস্ট একই পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রো রো ফেরি।
তারও আগে গত ২৩ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।