পবিত্র কুরআনে সাহাবিদের কথা যেভাবে বলা হয়েছে

মুসলিম সমাজে সাহাবি শব্দটি ব্যাপক পরিচিত। সাহাবি বলা হয়, যারা ঈমানের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সাহাবিরা যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তারা সত্য ও ন্যায়ের মাপকাঠি। আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি তাদের একনিষ্ঠ ভালোবাসা, ইসলামের জন্য তাদের ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ চির স্মরণীয় হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।

সাহাবায়ে কেরামের প্রশংসায় কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর সহচররা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদের রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমণ্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন।’ (সুরা ফাতাহ, আয়াত : ২৯)

সাহাবায়ে কেরাম হলেন উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য তারকাতুল্য ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। মুহাম্মদ ইবনে কাব আল কুরাজি (রহ.)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, রাসুল (সা.)-এর সাহাবি সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম সবাই জান্নাতবাসী হবেন—যদিও দুনিয়াতে তাদের কারো দ্বারা ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ে থাকে। লোকটি জিজ্ঞেস করল, এ কথা আপনি কোথা থেকে বলছেন? তখন এই আয়াত পাঠ করলেন, ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথমে ঈমান এনেছে এবং যারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের সবার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানরাজি তৈরি করে রেখেছেন, যার তলদেশে নহর বহমান। তাতে সর্বদা থাকবে। এটাই মহা সাফল্য।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০০; মাআরিফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ৫৯১)

মহান আল্লাহ সাহাবিদের পরস্পরের অন্তরে প্রীতির সঞ্চার করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তাদের হৃদয়ে পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি সৃষ্টি করেছেন। তুমি যদি পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদও ব্যয় করতে, তাহলে তাঁদের হৃদয়ে এই সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে পারতে না। কিন্তু তিনি তাঁদের অন্তরগুলো প্রতি সঞ্চার করেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৬৩)

আল্লাহ তাআলা চার শর্তে সাহাবিদের সফলতার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এক. রাসুল (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনা, দুই. তার শ্রদ্ধা ও সম্মান রাখা, তিন. তাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করা, চার. কোরআন অনুযায়ী চলা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং যেসব মানুষ তার (নবীর) ওপর ঈমান এনেছে, তার সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাকে সাহায্য করেছে এবং সে জ্যোতির অনুসরণ করেছে যা তার সঙ্গে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধু তারাই নিজেদের সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এ বছর ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে

নূর নিউজ

৮ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ

নূর নিউজ

সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে ঘুম ভাঙলে ফজর নামাজ পড়ার নিয়ম

নূর নিউজ