ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পর্দা পালন করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
তিনি বলেন বোরকা, পর্দা করা মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার। কারো ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কোন শিক্ষার্থীকে হিজাব বা নিকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবুতিতে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এসব কথা বলেন।
আল্লামা আতাউল্লাহ আরো বলেন, এমনিতেই জিনা, ব্যাভিচার, সমকামিতাসহ উলঙ্গপনা ও বেহায়াপনায় দেশ সয়লাব হয়ে গেছে। আইন করে বোরকা ও হিজাব পরা বন্ধ করলে নারিরা ইজ্জত রক্ষার শেষ অবলম্বনটুকু হারাবে। এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশে কোরআন সুন্নাহ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের চিন্তা চেতনা অক্ষুন্ন রেখেই সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত। প্রয়োজনে মুসলিম ছাত্রীদের পরিচয় সনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অথবা নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা রুমে পরিচয় সনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ইতিপূর্বে যারা মুসলিম শিক্ষার্থীদের কে জোরপূর্বক হিজাব খুলতে বাধ্য করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদেশের তৌহিদী জনতা ইসলামী বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।
উল্লেখ্য; গত ২০২২সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক নোটিশে বিভাগের সব প্রেজেন্টেশন, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ভাইভাতে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।