ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা।
আজ (রোববার) আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এমপি, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের সাবেক বিধায়ক অসিত মিত্র, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় ও অন্যরা।
মৃত আনিস খানের পরিবারের দাবি, গত (শুক্রবার) রাতে তাঁকে তিনতলা বাড়ির নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ, পুলিশের ছদ্মবেশে দুর্বৃত্তরা এসে তাকে হত্যা করেছে। আনিসের বাবা সালাম খানের দাবি, জোর করে তিন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে ছাদে উঠে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে।
সাবেক ছাত্র নেতা আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন ‘এসএফআই’। পাঁচ দিনের মধ্যে আততায়ীদের গ্রেফতার না করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ওই ইস্যুতে আজ (রোববার) হাওড়ার আমতা থানা ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা।
বাম ছাত্র সংগঠন ‘এসএফআই’-এর সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে আনিসকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। ছেলেটির অপরাধ, সে এলাকায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল।এবং তৃণমূল ও বিজেপি’র বিরোধিতা করেছিল। ’
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি ওই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি পুলিশি ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমি ওই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও তৃণমূলের সিনিয়র নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘বিক্ষোভ করে লাভ নেই। প্রকৃত যে দোষী তাকে গ্রেফতার করতে হবে। ঘটনাটা কী তদন্ত করে তার স্তরে পৌঁছতে হবে। হঠাৎ এভাবে আনিস খানের মৃত্যু হল কেন, তার সম্পূর্ণ তদন্ত করে সেটা প্রকাশ্যে আনতে হবে। এর পিছনে কাদের হাত আছে, সেই সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে। সুতরাং, বিক্ষোভ টিক্ষোভ করে সময় নষ্ট। পুলিশ তদন্ত করবে। এসপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি বলেছি, তদন্ত করে ওই ঘটনায় আসল দোষী কে তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুন এবং আদালতে নিয়ে যান যাতে পশ্চিমবঙ্গে আর কেউ এধরণের ঘটনা না ঘটাতে পারে।’
মৃত আনিস খানের বাবা সালাম খান ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন