আরও ১৫টি আসনে ফল ঘোষণার বাকি থাকলেও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্র এবং পাঞ্জাব প্রদেশে জোট সরকার গঠনে একমত হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জিও নিউজ।
শুক্রবার রাতে পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভির বাসভবনে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দেখা করেন পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ।
দলীয় সূত্র জানায়, বিলাওয়ালের বাবা আসিফের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফের বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন শাহবাজ। পিপিপির এই দুই নেতাকে পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পিএমএল-এনের নেতাদের সঙ্গে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র আরও জানায়, পাঞ্জাবে ও কেন্দ্রে সরকার গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ ও আসিফ আলী জারদারি। পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরবে দুই দল। ওই বৈঠকেই ক্ষমতা ভাগাভাগি, কে কোন মন্ত্রণালয়ে বসবে, এসব বিষয় চূড়ান্ত হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোটগ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন। নির্বাচনের প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার হলেও সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
তবে গতকাল রাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় এবারের নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। ফলে শুক্রবার রাতেই জোট সরকার গঠনরে ঘোষণা দেন নওয়াজ শরিফ।
আরও পড়ুন: ইমরানকে ঠেকাতে সব অস্ত্রই ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে কমিশন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। যার বেশিরভাগই পিটিআই সমর্থিত। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭১টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন।
এদিকে সাধারণ নির্বাচনে নিজেদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সভার আহ্বান করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই।
দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান, আসাদ কায়সার, আলী মুহাম্মদ খান এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠকে যোগ দেবেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।