পাকিস্তান থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিলো সুইডেন

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে সুইডেন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার কারণে সুইডিশ এই দূতাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূতাবাস বন্ধের বিষয়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইসলামাবাদের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সুইডেনের দূতাবাস দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রয়েছে। অভিবাসন বিভাগ এই মুহূর্তে কোনো ধরনের আবেদন পর্যালোচনা করতে সক্ষম নয়।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এছাড়াও গেরি’স-এ আমরা আমাদের কনস্যুলেট বা আপনার বাড়ির ঠিকানায় কোনও নথি পাঠাতে পারছি না। আমরা জানি, এতে অনেকে অসুবিধার সম্মুখীন হবে তবে আমাদের কাছে আবেদনকারী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

এদিকে দূতাবাস পুনরায় কবে খুলতে পারে সে বিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে দেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। কারও কোনও জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে মাইগ্রেশন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।

এদিকে দূতাবাস বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তের কারণে সুইডেনে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী পাকিস্তানের অনেক শিক্ষার্থী বিচলিত হয়ে পড়েছেন। কারণ সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ায় অনেকেই ইতোমধ্যেই সময় এবং অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।

সুইডেনে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‘অনেক পাকিস্তানি ছাত্র এই বছর সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করছে এবং এখন তারা তাদের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের জিজ্ঞাসা করছে। আমরা আশা করি তারা দ্রুত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং শিক্ষার্থীরা দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে থাকে।’

অবশ্য সুইডিশ দূতাবাস পাকিস্তানে নিরাপত্তা হুমকির ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। তবে অনেকে বিশ্বাস করেন, সুইডেনে সম্প্রতি পবিত্র কোরআন পোড়ানোর যে ঘটনার ঘটেছে, দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্তটি সেই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মূলত মুসলিম-বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য পরিচিত একজন ডেনিশ-সুইডিশ অতি-ডানপন্থি উগ্রপন্থি রাজনীতিক সুইডিশ পুলিশের নিরাপত্তায় গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দেয়।

এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে বিশ্বের অনেক অমুসলিম নেতাও এই ঘটনায় তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নির্বাচনে হেরে যা বললেন মাহাথির মোহাম্মদ

নূর নিউজ

এবারও ইজতেমা ময়দানে মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা

নূর নিউজ

বদলে গেছে রমজানের চিরাচরিত চিত্র, দুঃখ করলেন আমিরাতের বাসিন্দারা

নূর নিউজ