পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি দূর করে শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে

২০২৩-এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার টার্ম, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, প্লেজারিজম এবং ধর্ম ও জাতি সত্বাবিরোধী বিষয়বস্তু সংযাজন বাতিল, ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ঈসায়ী, শুক্রবার সারাদেশের থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

সভায় মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ অঞ্চলের হাজার বছরের চর্চিত সংস্কৃতি। প্রত্যেক ধর্মেরই আলাদা আলাদা রীতি-নীতি ও সংস্কৃৃতি রয়েছে। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণীর ঊহমষরংয ঋড়ৎ ঞড়ফধু বইয়ের ১৩৫-১৪৮ পৃষ্ঠা গল্পে চার ধর্মের চার বন্ধুর কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে ; যেখানে প্রত্যক বন্ধুর প্রধান ধর্মীয় উৎসবে অপর সকল বন্ধুদের দাওয়াত দিয়ে একসাথে উদযাপনের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি সৌহার্দ্যপূর্ণ মনে হলেও এমন গল্পের মাধ্যমে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠানের স্বাতন্ত্রতা ও নিজস্বতা বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কারণ ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মাঝে পরস্পর সাংঘর্ষিক অনেক বিষয় আছে। যার মাধ্যমে প্রত্যেকেরই ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, ধর্মীয় সম্প্রীতি শেখানোর জন্য সকলের ধর্ম ও বিশ্বাস বিনষ্ট করার কোন অর্থ হয় না। বরং যার যার ধর্ম ও বিশ্বাস যথাযথ জায়গায় রেখেই ধর্মীয় সম্প্রতি রক্ষা করা যায়। যার উদাহারণ আমরা বাঙালীরা হাজার বছর ধরে প্রদর্শন করে আসছি। ফলে এই ধরণের বিষয় পাঠ্যসুচি থেকে বাদ দিতে হবে। ঢাকা জেলা দক্ষিণের দাওয়াতী সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এক দাওয়াতী সভা

গতকাল সুন্দরবন-১০ লঞ্চে অণুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দাওয়াতী সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা জেলা দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হানিফ মিয়া, আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান ও প্রফেসর ডাক্তার কামরুজ্জামান, সাবেক সেক্রেটারী মোঃ হাসমত আলী,জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ শাহীন আহমদ ও মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিল ফেরতশেষে নতুন সাথীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দাওয়াতী সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, ২০২৩ সালের পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি দূর করে নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে এবং শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি আদায় করতে হবে। ৬ম ও ৭ম শ্রেণির কেবল দু’টি বই বাতিল করে আন্দোলনকে পশমিত করার চেষ্টা

করছে সরকার। মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন,ইসলামবিদ্বেষী শক্তির ক্রীড়নক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সিলেবাসের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চক্রান্ত করছে। এজন্য তাকে অপসারণ করে পাঠ্যপুস্তকের ভুল ছাপার জন্য ক্ষতিপুরণ আদায় করতে হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সারাদেশে থানায় থানায় পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি দূর এবং নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিতব্য বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সফলের জনে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

তেলের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা ছিল ভুল: বাণিজ্যমন্ত্রী

নূর নিউজ

নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশ গভীর সংকট ও বিপদে পড়বে : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

নূর নিউজ

ওবায়দুল কাদের আমাকে বলেছেন ‘তুই আমার পদ খাইবি’: কাদের মির্জা

আলাউদ্দিন