পার্বত্য জেলা বান্দরবনের রোয়াংছড়ি উপজেলায় হত্যাকাণ্ড: বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী পার্বত্য জেলা বান্দরবনের রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত দশ দিনে অন্তত সাতজন জন খুন হয়েছেন।

সর্বশেষ গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দুপক্ষের গোলাগুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। রোয়াংছড়ির তারাশা ইউনিয়নের মংবাইতং পাড়ার কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। সেখানে একটি খাদে লাশ চারটি পরে ছিল।

অপর এক সন্ত্রাসী হামলায় রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের নতুনপাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সাবেক এক কর্মী। নিহত ব্যক্তির নাম মংচিংসুইয়ে মারমা (৩২)। শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদ কবির বলেন, মংচিংসুইয়ে মারমার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

এ ছাড়া, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বুখ্যংপাড়ায় উনুমং মারমা (৪৭) নামের জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের এক কর্মীকে অস্ত্রধারীরা গুলি করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গুলি করার পর অস্ত্রধারীরা তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। ওদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় এক নারীকে (৪৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, স্থানীয় উপজাতী বাসিন্দা ওই নারী বৃহস্পতিবার সকালে জুমে গিয়েছিলেন। বিকেল নাগাদ ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন সন্ধ্যায় পাহাড়ে গিয়ে জুমঘরে তাঁর লাশ দেখতে পান। তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরনের কাপড় এলোমেলো ছিল। তিনি কয়েক দিন ধরে জুমখেতে ধানের সঙ্গে চাষ করা হলুদ সংগ্রহের কাজ করে আসছেন।

বান্দরবানে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থানীয় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু রেডিও তেহরানকে বলেন, দু’ টি সশস্ত্র গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সব হত্যাকান্ড ঘটছে। এ দুটি গ্রুপ হচ্চে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং মগ পার্টি।

এ প্রসঙ্গে বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আখতার আজ সকাল ১১টার দিকে তার কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, এখানে যে খুনগুলো ঘটছে এর সঙ্গে সাধারণ আইন-শৃঙ্খলার বিষয়কে না মিলিয়ে আলাদাভাবে দেখতে হবে। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের ঘটনা মেলানো যাবে না। এখানে ধরন ভিন্ন। পুলিশ সুপার বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি সংগঠন সক্রিয় আছে। তাদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা আছে। এটা সাধারণ মানুষের সমস্যা না। এটা সংগঠনগুলোর সমস্যা। এটারও বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে

এ জাতীয় আরো সংবাদ

চন্দ্রিমা উদ্যানের জিয়ার লাশ নেই: প্রধানমন্ত্রী

নূর নিউজ

ইসি গঠন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নূর নিউজ

কমতে পারে কোরবানির পশুর দাম

আনসারুল হক