জামাতে নামাজ আদায় একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তবে জামাতে ফরজ নামাজ পড়ার নির্দেশ শুধু পুরুষদের জন্য। নারীদের ওপর জামাতে অংশগ্রহণের স্বতন্ত্র্য কোনো নির্দেশনা ইসলামে নেই। তাই ঘরে একত্রিত হয়ে নারীরা পুরুষ বা নারী ইমাম বানিয়ে জামাত করাও শরিয়ত নির্দেশিত হুকুম নয়। এর প্রতি উৎসাহিতও করা হয়নি।
তবে নারীরা যদি পুরুষ ইমামের পেছনে জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ে নেয়, তাহলে ওই নামাজ শুদ্ধ হবে। আর এ ধরনের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান লঙ্ঘন না হলে নারীদের জামাত বৈধ।(তাবয়িনুল হাকাইক : ১/১৩৫; ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৩/৪৩)
শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণে যদি কোনো পুরুষ মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে ঘরের মাহরাম নারীদের সঙ্গে নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া তার জন্য বৈধ। এ ক্ষেত্রে সবাই জামাতের সওয়াব পাবে। কিন্তু গায়রে মাহরাম নারীদের নিয়ে ঘরে জামাতে নামাজ আদায় সমীচীন নয়।
তবুও গায়রে মাহরাম নারীরা যদি ঘরে নামাজের জামাতে শরিক হতে চায়, অবশ্যই তারা পর্দার আড়ালে থেকে জামাতে অংশগ্রহণ করবে। পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে জামাত করা বৈধ নয়। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৮, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ২/২২৭)
এভাবে নামাজ পড়তে গেলে জামাতে দাঁড়ানোর পদ্ধতি হলো—নামাজের জামাতে কাতারবদ্ধ হওয়ার সুন্নত পদ্ধতি হলো, প্রথমে বালেগ পুরুষ দাঁড়াবে, এরপর নাবালেগ বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক দাঁড়াবে। এর নারীরা জামাতে সবার পেছনে দাঁড়াবে। আর এক বা একাধিক নারী একসঙ্গে পেছনের সারিতে দাঁড়াবে। (সুনানুল বাইহাকি, হাদিস নং : ৫১৬৬; হেদায়া : ১/২৩৯) (রদ্দুল মুহতার : ১/৫৬৬, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/২৯৯)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঘরে জামাতে নামাজ পড়েছি, একবার আমি নবী করিম (সা.)-এর পাশে দাঁড়িয়েছি, আর আয়েশা (রা.) আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আমাদের সঙ্গে জামাতে শরিক হয়েছিলেন। (নাসাঈ, হাদিস নং : ৮০৩)