পেটের মেদ দূর করবে এই ৫ পানীয়

সকালের পান করার জন্য কিছু উপকারী পানীয় আছে যেগুলো আমাদের বিপাক বাড়াতে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি এই পানীয়গুলো পান করলে তা আরও দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি পানীয় সম্পর্কে, যেগুলো আপনার পেটের বাড়তি মেদ ঝরাতে সত্যিই কাজ করবে-

মধু-লেবুর পানি

ওজন কমানোর জন্য একটি জনপ্রিয় পানীয় হল লেবু পানি। পেটের মেদ কমাতে লেবু পানি বেশ কার্যকরী। লেবু শরীর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট বার্ন করে। যদি মনে করেন লেবু পানি আপনার জন্য খুব টক, তাহলে স্বাদের অল্প পরিমাণে মধু যোগ করতে পারেন। যা আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন।

বাটারমিল্ক

গরমের দিনে হাইড্রেশন দেওয়ার পাশাপাশি বাটারমিল্ক পেটের চর্বি পোড়ানোর অন্যতম সেরা পানীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এর প্রোবায়োটিক হজমে সাহায্য করে এবং ভিটামিন বি ১২ পুষ্টির শোষণকে সর্বাধিক করে তোলে। এটি শক্তি জোগায়, যে কারণে সহজে ক্লান্তি আসে না। এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো লবণ, গোলমরিচ এবং আধা চা চামচ ভাজা জিরা গুঁড়া যোগ করুন। এবার পান করুন। সকালে এই পানীয় পান করলে বেশি উপকার পাবেন।

জিরা পানি

জিরা আমাদের অনেক খাবার তৈরিতেই ব্যবহার করা হয়। থাইমোকুইনোন এর একটি অনন্য সক্রিয় উপাদান, এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক। জিরার পানি তৈরি করা সহজ। ফুটন্ত পানিতে অল্প জিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা হজম এবং বিপাককে ত্বরান্বিত করে, উভয়ই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক।

দারুচিনি চা

দারুচিনি চায়ে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস আপনার বিপাককে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে পারে। দারুচিনিতে অনেক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। এই মিশ্রণের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে এবং এটি একটি ডিটক্স পানীয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই চায়ের সঙ্গে মধু দিয়ে মিষ্টি করতে পারেন।

গ্রিন টি

গ্রিন টি চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত, তবে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রীর কারণে এটি আরও অনেক সুবিধা দেয়। গ্রিন টি হলো খাবারের পরের একটি চমৎকার পানীয় যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। কারণ এটি বিভিন্ন পুষ্টি এবং উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের শক্তিশালী উৎস। এই চায়ে থাকা ক্যাটিচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিপাককে দ্রুত করতে পারে এবং মেদ ঝরাতে কাজ করে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ঘরে বসে টিকা নিয়ে সমালোচনায় এবার মেয়র লিটন

নূর নিউজ

ডায়াবেটিস থাকলে রসুনের চা খাবেন যে কারণে

নূর নিউজ

লটকনের উপকারিতা

নূর নিউজ