আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নতুন এক সরকাপন্থি জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল, ইসলামি এবং সমমনা ১৫টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোটটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রগতিশীল ইসলামি জোট’। সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে জোটটি। আউয়াল পূর্বে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর দল তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের হয়ে এমপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করে এই জোট। শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা জোটের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ও ৫ দফা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসে রাজপথনির্ভর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে- ১ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, ২ নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, ৩ বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, ৪ বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট, ৫ বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, ৬ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, ৭ বাংলাদেশ জনমত পার্টি, ৮ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বি এন জে পি), ৯ ইসলামী লিবারেল পার্টি, ১০ জনতার কথা বলে, ১১ বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, ১২ বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, ১৩ সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, ১৪ বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও ১৫ বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।
এমএ আউয়ালকে চেয়ারম্যান করে জোটের কো-চেয়ারম্যানগণ হলেন- আলহাজ্ব হা: মাও হারিছুল হক, সৈয়দ সামসুল আলম হাসু, মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল, প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ, খন্দকার এনামুল নাছির, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, মো. আখতার হোসেন, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম।