প্রতিরক্ষা খাতে খরচ কমাতে চাইছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই জন্য বাজেটে কাটছাঁট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, প্রতিরক্ষা বাজেট বার্ষিক আট শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই ক্ষেত্রে খরচ বা বাজেটের পরিমাণ ২৯০ বিলিয়ন ডলার কমানোর জন্য সেখানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের খবরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই খরচ কমানোর জন্য পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। এ নিয়ে পেন্টাগনকে একটি মেমো পাঠিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জন্য পেন্টাগনের বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দাবি, চীন এবং রাশিয়ার হুমকির হাত থেকে বাঁচতে একটা বিশাল অঙ্কের ব্যয়ের প্রয়োজন। তাই ট্রাম্পের প্রশাসন যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে সম্মত তারা। এই কাটছাঁট, যদি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে পাঁচ বছরের শেষে এই ক্ষেত্রে খরচের পারিমান কমে প্রায় ৫৬০ বিলিয়ন হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে বাজেটে কাটছাঁট করা হবে তার কোনও অথ্য ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অনেক কর্মী। তাদের আশঙ্কা, এর লক্ষ্য হবেন ইউনিফর্মধারী কর্মী নন এবং নিচুতলার সাধারণ বেসামরিক কর্মীরা।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে পেন্টাগন ঘুরে দেখে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ। সেখানে গিয়ে ওই বিভাগের কর্মকর্তারা মিলিটারি এবং অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন, তারপরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তার পরেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই প্রভাব পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ঠিকাদারের স্টক মার্কেটের দামের উপর। ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেই লকহিড মার্টিন এবং নর্থরপ গ্রুম্যান-এর স্টক মার্কেটে দাম কিছুটা কমে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিবের মেমোতে বলা হয়েছে আগামী ২৪ তারিখের মধ্যেই কোন কোন ক্ষেত্রে কাটছাঁট করা যাবে তা নিয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাতে হবে। তবে, মেক্সিকোর সীমান্তে সেনা মোতায়েন এবং অভিযান ছাড়াও পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা (মিসাইল ডিফেন্স)-সহ ১৭টি ক্ষেত্রকে রেহাই দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাশাসন। এই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক এবং মহাকাশ বিষয়ে আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত অর্থ পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে প্রতিরক্ষার জন্য যে সমস্ত জিনিস দরকার সেই ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।