নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সরকারি অফিসগুলোতে গেলে যথাযথ সম্মান পান না। এক কোটির মতো প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। ডিসিদের কাছে তাদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে পর্যাপ্ত তথ্য মেলে না। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ডিসি সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ দিনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পাসপোর্ট বানাই না, এনআইডিও বানাই না। বিদেশে যেসকল বাংলাদেশিরা অবস্থান করছেন তাদের এসব অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তারা এসব প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন আমরা তাদের সহায়তা করতে চাই। কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট ডিসি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাই না। প্রবাসীদের বিষয়টি মাথায় রেখে এসব কাজ ত্বরাণ্বিত করতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর পর জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের জন্য ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দিনক্ষণ নির্ধারণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে গত ১৮ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১২টি ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে এবার সাজানো হয়েছে ডিসি সম্মেলন। ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে সম্মেলনে।