এ বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা চাহিদার চেয়েও ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টি বেশি বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বুধবার সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। এরমধ্যে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার। সে হিসেবে এবার ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।’
গত বছর দেশে কোরবানিযোগ্য পশু ছিলো ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। এরমধ্যে কোরবানি করা হয় ৯৯ লাখ ২১ হাজার ৯৪১টি।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও কোরবানির চাহিদা দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই মেটানো যাবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে পশু আমদানির কোন প্রয়োজন নেই। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত পথে যাতে অবৈধভাবে গবাদিপশু আসতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে পত্র দেওয়া হয়েছে।
‘কোরবানি সামনে রেখে কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য, স্টেরয়েড, হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যতীত নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্ট করণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে এ বছরও স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ বছর ৭২ হাজার ৫৬৩ জন খামারিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।’
পশু খাদ্যে ভেজাল বা নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোনের ব্যবহার বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও সতর্ক করেন শ ম রেজাউল করিম।
হাটে অসুস্থ্য পশু বিক্রি বন্ধে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
মন্ত্রী জানান, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। এর মধ্যে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে, ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু আছে।