কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান আলে সানি কাবুলে আফগানিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ হাসান আখুন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।তালেবানের পক্ষ থেকে এ সাক্ষাতের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে তালেবান সরকারের শীর্ষ নেতাদের এ ধরনের কোনো সাক্ষাতের ছবি প্রকাশ করা হতো না।
আফগানিস্তানে তালেবানের পক্ষ থেকে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ ঘোষণা করার পর আলে সানি হলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো বিদেশি কর্মকর্তা যিনি হাসান আখুন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসান আখুন্দ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।
তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মাদ নাঈম এক টুইটার বার্তায় এ সাক্ষাতের খবর প্রকাশ করে বলেছেন, সাক্ষাতে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ ইয়াকুব মুজাহিদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানি উপস্থিত ছিলেন।
নাঈম জানান, সাক্ষাতে দু’পক্ষ মানবিক সাহায্য, আফগানিস্তানের উন্নয়ন কার্যক্রমের ভবিষ্যত এবং ইসলামি আমিরাতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমাজের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাতে দুঃসময়ে আফগান জনগণের পাশে থাকার জন্য কাতারের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান আফগান প্রধানমন্ত্রী।
আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ও হামিদ কারজাই’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তালেবানের মুখপাত্র জানান, সাক্ষাতে মোহাম্মাদ হাসান আখুন্দ ও আফগান জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলে সানি।
কাবুলে সফরে আফগানিস্তানের জাতীয় সংহতি পরিষদের প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সময় আফগানিস্তানে একটি অংশগ্রহণমূলক ও ব্যাপকভিত্তিক সরকার গঠনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয় বলে তিনি জানান।
আফগানিস্তানের তালেবানের ওপর যেসব দেশের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কাতার অন্যতম। তালেবানের সঙ্গে আমেরিকার যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির ভিত্তিতে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে সে চুক্তি কাতারে স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া, তালেবানের একমাত্র বৈদেশিক দপ্তরটি কাতারে অবস্থিত