ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে বর্বর হামলা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা করছে। পুরো গাজাকে একটি জেলখানায় পরিণত করে সেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মমতা চালাচ্ছে। বিগত ৭/৮ মাসে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। আর এসবই হচ্ছে আমেরিকার মদদে। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা তাদের ন্যায্য দাবি। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুসলমানদের কেবলা মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। ইসরাইলের বর্বরতা বন্ধে প্রয়োজনে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং ইসরাইলী পণ্য বর্জন করে অর্থনীতির উপর আঘাত করতে হবে। মুসলমান দেশগুলো ইচ্ছা করলে ফিলিস্তিনকে সময়ের ব্যবধানে মুক্ত করা সম্ভব। তিনি আরব দেশগুলোসহ মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আগামি ৩১ মে ২০২৪, শুক্রবার বাদ জুম’আ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে দখলদার ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবীতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে স্মরণকালের বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গণমিছিল সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আঊয়াল মজুমদার, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ইসলামী যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারী মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, এইচএম রফিকুল ইসলাম, হাজী শাহাদাত হোসেন, হাজী শাহীন আহমদ,ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ মানসুর, ইমরান নূর, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারী ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারী মুফতী ফরিদুল ইসলাম।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। ২৭ জাতির ইইউর সদস্য সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকেও অনুরূপ স্বীকৃতি এবং দাবী আদায়ে কার্যকর ভুমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানন।