জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের দু’টি স্কুলে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, স্কুল দুটিতে ইসরাইলি সেনাদের পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র ইহুদিরা যে হামলা চালিয়েছে তা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
একদল উগ্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারী গতকাল (রোববার) পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের দুই ফিলিস্তিনি স্কুল রাস আল-তিন ও আল-তাহাদিতে হামলা চালায়। তারা স্কুলের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে এবং শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষগুলোতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উগ্র ইহুদিদের ‘সন্ত্রাসী গ্যাংগুলো’ তাদের উগ্র নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাকে ব্যাপকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। দুই উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ও বেজালেল স্টোরিচ এসব হামলার পেছনে প্রকাশ্যে উস্কানি দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিমা সহযোগিতায় জর্দান নদীর পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইহুদিবাদী ইসরাইল। তখন থেকে এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শত শত অবৈধ বসতি স্থাপন করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের ধরে এনে বসবাস করতে দিয়েছে তেল আবিব। এসব বসতিতে বসবাসকারী ইহুদিরা এখন পশ্চিম তীরের স্থানীয় ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বকে কখনও স্বীকৃতি দেয়নি জাতিসংঘ।