আজ (৯ অক্টোবর ২০২৩ ইং) গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, গত দুইদিনে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সাত শতাধিক স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান, উত্তেজনা ও আগ্রাসন বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একের পর এক হামলা করে ইসরায়েল মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করেছে। বিশ্বের মোড়ল দেশগুলোর ইন্ধন ও প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। তারা বর্বর হামলা চালিয়ে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের শহীদ করেছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনে আজ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাদের হামলা থেকে গণমাধ্যম, ধর্মীয় উপাসনালয়, নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রক্ষা পাচ্ছে না। এটা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ। মুসলমানদের ওপর মানবতা বিরোধী এমন উদ্ধত আচরণ মেনে নেয়া যায় না।
ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে বেসামরিক স্থাপনা এবং নারী, শিশুসহ সাধারণ মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলো তাদের নিজ নিজ রাষ্ট্রে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এ হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আরব দেশগুলোর নীরবতা এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে বিশ্বজনমতের তোয়াক্কা না করে ইসরায়েল এ হামলা অব্যাহত রেখেছে। বৃহৎ শক্তিগুলোর ঐকমত্যের অভাবে জাতিসংঘও এ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে এ হামলা বন্ধে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশ্বনেতৃত্ব ও জাতিসংঘকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সবশেষে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশব্যাপী যার যার জায়গা থেকে বরকতময় এ স্থান ও ফিলিস্তিনী মুসলমানদের রক্ষার জন্য রোজা, সালাতুল হাজত ও বিভিন্নভাবে দোয়ার এহতেমাম করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। সাথে সাৎে ফিলিস্তিনে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাঁদের শাহাদাত কবুল করার এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আমরা মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করছি। সেই সঙ্গে নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি এবং ফিলিস্তিনি সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।