সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের বিস্তাররোধে কাজ করছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এ কথা বলেছেন সৌদি আরবের কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, মাহমুদ আব্বাসকে মোহাম্মদ বিন সালমান আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের একটি যথোপযুক্ত জীবনযাপনের বৈধ অধিকার অর্জন, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার অর্জন ও ন্যায়সংগত, স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য তাদের পাশে থাকবে রিয়াদ।
ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত শনিবার ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে পালটা হামলা চালায় ইসরাইল। এতে দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়।
চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি। উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ।
ইসরাইলকে এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। তবে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরব রাজি হতে যাচ্ছে বলে কথা ছড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হলো।
বলা হচ্ছে, চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাবে সৌদি। পাশাপাশি তারা বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়নে সহায়তা পাবে।
গত মাসে সৌদির যুবরাজ মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তার দেশ ক্রমাগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনাটি বেশ জটিল। এ আলোচনার কেন্দ্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে ইসরাইলের সম্ভাব্য ছাড়ের ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত। ফিলিস্তিন ইস্যুটি সৌদি আরবের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘আমাদের এ অংশের সমাধান করতে হবে। আমাদের ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলমান সংঘাতে ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি মারাত্মক ধাক্কার মুখে পড়েছে।
ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট নিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।