দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ফের উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যোগাযোগ করার ইচ্ছে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমকে ‘স্মার্ট ব্যক্তি’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিম জং উনের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করার কোনো পরিকল্পনা তার আছে কি না।
উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। তিনি একজন স্মার্ট ব্যক্তি এবং তিনি আমাকে পছন্দ করেন।”
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অঙ্গণ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সম্পর্ক চরম বৈরী। এ বৈরিতার প্রধান কারণ দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক কর্মসূচি এবং কিমের বেপরোয়া মনোভাব। উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে তা সত্ত্বেও পরমাণু প্রকল্প জারি রেখেছে দেশটি।
এছাড়া নিজের দুই প্রতিবেশী এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত এশীয় মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে চাপে রাখতে নিয়মিতই কোরিয়া প্রণালী ও জাপান সাগরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে আসছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে নিজের প্রথম মেয়াদে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (তৎকালীন টুইটার) কিমের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের সেই ছবি পোস্টও করেছিলেন, যা রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
২০১৯ সালের ৪ জুলাই দুই কোরিয়ার মাঝের বেসামরিক এলাকায় (ডিএমজেড) ঘটেছিল এ সাক্ষাৎ। পরে ট্রাম্প সীমান্তরেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার মাটিতেও পা রাখেন। বস্তুত, সেটি ছিল কোনো ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম উত্তর কোরিয়ায় পা রাখা।
বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতি স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, “আমি তার (কিম) সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে চাইছিলাম এবং আমরা একটা চুক্তির খুব কাছাকাছি ছিলাম। ওই সময় পুতিনের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) সঙ্গেও পরমাণু অস্ত্র হ্রাস বিষয়ক একটি চুক্তি নিয়ে আমার আলোচনা চলছিল….কিন্তু একটা বাজে নির্বাচন (২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) সবকিছু ভন্ডুল করে দিলো।”
এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এই প্রথমবারের মতো পিয়ংইয়ংকে এমন স্বীকৃতি দিলো ওয়াশিংটন।
সূত্র : এএফপি