আমাদের শরীরের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে লিভার। বিভিন্ন উৎসেচক তৈরি করা, হজমে সহায়তা করা, শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়া ইত্যাদি হলো লিভারের কাজ। আমাদেরই ভুলে এই লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করতে পারে। তখনই তা বিভিন্ন সমস্যা আকারে প্রকাশ পেতে থাকে। লিভারের সমস্যা শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে তা পরবর্তীতে বিপদের কারণ হতে পারে।
লিভার ফাইব্রোসিস, লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক অসুখ থেকে বাঁচতে লিভারের খেয়াল রাখা জরুরি। লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে ওষুধের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো খাবারে পরিবর্তন আনা। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আদা
প্রায় সবার রান্নাঘরেই আদা থাকে। পরিচিত এই মসলাই আপনার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে দারুণ কার্যকরী। মেডিক্যাল নিউজ টুডে অনুসারে, নিয়মিত আদা খেলে কমে লিভারের ফ্যাটের পরিমাণ। এটি গবেষণায়ও প্রমাণিত। তাই লিভারের অসুখ থেকে বাঁচতে নিয়মিত আদা খান। প্রতিদিন আদা কুচি চিবিয়ে খেতে পারেন। সেইসঙ্গে আদা চা খেলেও উপকার পাবেন।
কফি
কফি উপকারী পানীয়। দিনে এক-দুই কাপ কফি খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। এটি ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। তবে অতিরিক্ত চিনি বা ফ্যাট যুক্ত দুধ মিশিয়ে কফি খেলে সুফল মিলবে না। এর পরিবর্তে ব্লাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটিই উপকারী।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খেলেও মুক্তি মিলবে ফ্যাটি লিভার থেকে।এই ধরনের ফ্যাট কিন্তু শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে কাজ করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে কাজ করে। তাই খাবারের তালিকায় যোগ করুন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার। আখরোট ও আমন্ডের মতো বাদামে পাবেন পর্যাপ্ত ওমেগা থ্রি। এছাড়াও স্যামন, সার্ডিনের মতো সামুদ্রিক মাছেও পাবেন এই ফ্যাট।
ব্রকোলি
উপকারী একটি সবজি হলো ব্রকোলি। বিভিন্ন গবেষণায় মিলেছে এর উপকারিতার প্রমাণ। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর থেকে ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে কাজ করে ব্রকোলি। ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য এই সবজি উপকারী। নিয়মিত ব্রকোলি খেলে তাই লিভারে ফ্যাট জমতে পারে না। এই সবজিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। দুই উপাদান লিভার থেকে ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে কাজ করে।
গ্রিন টি
নিয়মিত গ্রিন টি খেলেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূরে থাকে। এ জাতীয় চায়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য দারুণ কার্যকরী। বিপাকের হার বাড়াতে কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যে কারণে লিভার থেকে ফ্যাট কমে।প্রতিদিন এক-দুই কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখতে কাজ করবে।