গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা পরিকল্পিত। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হলে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কোমর ভাঙা। দেশে এর আগেও অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বিচার বিভাগ এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার রায় সুষ্ঠুভাবে দিতে পারেনি। এ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কোমর ভাঙা। তারা ওপর মহলের ইশারায় বিচারের রায় দেন। তারা চেয়ে থাকেন আনিসুল হক কী বলেন, সেভাবেই তারা চলেন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার দলীয় লোকজন শাল্লার নোয়াগাঁও সংখ্যালঘুদের ওপর এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা সত্যিই খুব লজ্জাজনক। ওই লজ্জা আমরা কোথায় রাখব? সরকারের পুলিশ প্রশাসন এখানে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তাই অবিলম্বে এখানে যতজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিলেন তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই দিনগুলো দেখার জন্য কী আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছিলাম, যে স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারি না। আমরা আজকে এখান থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, আগামী ৭ দিনের ভেতর শাল্লার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শাল্লার এই গ্রামে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। সনাতন ধর্মের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা প্রশাসনের। প্রশাসন যদি আগের দিন সঠিক ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটত না। তাই এ ঘটনার দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমদাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।