জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফা ময়দানে অবস্থান করেন হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরাহ থেকে হাজিদের উদ্দেশে খুতবা পাঠ করা হবে।
গত চার বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও খুতবাটি বাংলাসহ বিশ্বের ১৪টি ভাষায় লাইভ অনুবাদ করা হবে। এ বছর ২০ কোটির বেশি লোক লাইভ অনুবাদ শুনবেন বলে আশা করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। খুতবার অনুবাদ সর্বোচ্চসংখ্যক শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আরব নিউজের খবরে জানা যায়, সৌদির মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সেবার মান উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, ব্যাপক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বছর ১৪টি ভাষায় খুতবা অনুবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আল-সুদাইস আরও বলেন, খুতবা অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশের হজযাত্রীরা নিজ দেশের ভাষায় কথা শোনার সুযোগ পাবেন। ইসলামের সম্মানিত স্থানগুলোতে নিজের ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও নির্দেশনা পাওয়া একজন বিদেশির জন্য সত্যিই অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করবে। ‘মানারাতুল হারামাইন’ ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘আল কোরআন’ ও ‘আস সুন্নাহ’ চ্যানেলে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারেও তা লাইভ শোনা যায়।
তিনি আরও জানান, ১৪৪৩ হিজরিতে পাঁচ ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে খুতবার লাইভ অনুবাদ প্রকল্প শুরু হয়। প্রথম বছর ১০ লাখের বেশি মানুষ তা শুনেছেন। দ্বিতীয় বছর শ্রোতা ছিল এক কোটি ১০ লাখ, তৃতীয় বছর পাঁচ কোটি এবং চতুর্থ বছর ১০ কোটির বেশি শ্রোতা ছিল। চলতি বছর ২০ কোটির বেশি শ্রোতা খুতবার অনুবাদ শুনবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যে ১০ ভাষায় আরাফার খুতবা অনূদিত হবে তা হলো ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, মালাই, উর্দু, ফারসি, রুশ, চায়নিজ, তার্কিশ, বাংলা, হাউসা। নতুন অন্তর্ভুক্ত চারটি ভাষা হলো স্প্যানিশ, হিন্দি, সোয়াহিলি ও তামিল। এই বছরও আরাফার খুতবা বাংলায় অনুবাদ করবেন মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান।
আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে খুতবাটি দেওয়া হয়। এই স্থানে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) প্রদত্ত খুতবাটি বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক ওই ভাষণে তিনি ইসলামের শিক্ষা, মানবাধিকার, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন সামাজিক ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সূত্র : আরব নিউজ